তৃণমূল সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র সরকার অনুমোদিত জাতী সংগঠন রুর‌্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) এর চেয়ারম্যান সিনিয়র সাংবাদিক ও কলাম লেখক এস এম জহিরুল ইসলামকে প্রাণনাশের হুমকি ও বিভিন্ন অননুমোদিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং গণমাধ্যম মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার কারনে গত ১১ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে, যার নং ৭৬৬।

সাধারণ ডায়রীতে বলা হয়, প্রতারক আসগর আলী মানিক একজন প্রতারক। বিভিন্ন অপরাধের জন্য সে কিছু দিন আগে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারা ভোগ করে। জেল থেকে বেড়িয়ে এসে সে আবার নানা প্রকার প্রতারণা ও অপকর্মে জড়িত হয়ে পরে। ঘটনার দিন সে তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে আরজেএফ চেয়ারম্যান এস এম জহিরুল ইসলামকে জীবন নাশের হুমকি দেয় এবং সংগঠন ধ্বংস করবে বলে শাসায়। এর আগেও সে আরজেএফকে নিয়ে একটি কুচক্রী মহলের সাথে আতাতঃ করে আরজেএফকে নিয়ে বিভিন্ন কুৎসা রটায়। আসগর আলী মানিক একজন মুর্খ লোক। সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনলাইন টিভির সাংবাদিক পরিচয়ে ভুয়া কার্ড বিক্রি করে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সে নিজেকে একটি স্যাটেলাইট টিভির মালিকও দাবী করে। প্রতারণার অভিযোগে চট্রগ্রাম থেকে ঢাকায় পালিয়ে এসে পল্টন পর পর ২ টি অফিস নিলেও ভাড়া দিতে না পাড়ায় ভবন মালিকরা তাকে বের করে দেয়। তারপরও সে আত্মগোপনে থেকে নানা অপকর্ম করে চলছে। আসগর আলী মানিকের জীবনের প্রথম পেশা ছিল বিড়ি বিক্রেতা। এরপর চট্টগ্রাম শহরে ছিনতাই ও চুরির সাথে জড়িত ছিল সে।

আরজেএফ’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস এম জহিরুল ইসলাম

এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন এবং দ্রুত গ্রেফতারের দবি জানিয়েছেন আরজেএফ নড়াইল জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিদাতারা হলেন, নড়াইল জেলা আরজেএফ সভাপতি ও সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মোঃ সাজ্জাদ আলম খান সজল, সাধারন সম্পাদক স্বপন কুমার দাস, সহ-সাধারন সম্পাদক সুলতান মোল্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ সরকার, প্রচার সম্পাদক মধু সরকার, সাহিত্য সম্পাদক মামুন মোল্যা, কোষধ্যক্ষ জিরু শেখ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ হামিমুর রহমান শামিম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সোহানা পারভিন জনি, স্থায়ী পরিষদ সদস্য উজ্জল খান, নির্বাহী সদস্য এ্যাডঃ রাকিব হাসান, মোস্তফা কামাল, আব্দুল কাদের সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এ বিষয়ে আরজেএফ চেয়ারম্যান এস এম জহিরুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালে আসগর আলী মানিক তথ্য গোপন করে দৈনিক ঘোষণার চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব নেয়। এ সময় আমি দৈনিক ষোষণায় ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আসগর আলী মানিক তখন শর্ত ভংগ করে বিজ্ঞাপনের ৪ লাগ টাকা আত্মসাৎ করে। সেই টাকা চাইতে গিয়েই কাল হয়ে দাড়ায়। তখন থেকেই এই প্রতারণা আসগর আলী মানিক আমার বিরুদ্ধে ও আরজেএফকে নিয়ে নানা অপ- প্রচার চালায়। তারই ধারাবাহিকতায় আরজেএফ এর আগামী জাতীয় কাউন্সিল ২০২৩-কে ঘিরে প্রতারক মানিক আবার অপপ্রচারের ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। সে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে তা আবার বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের কর্মকর্তাদের ও দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের হোয়াটসঅ্যাপে প্রেরন করছে।

পল্টন থানা পুলিশ জানায়, প্রতারক এই আসগর আলী মানিক ইতিমধ্যে নানা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল। বাঁশ খালী, চট্রগ্রাম ও ঢাকায় তার বিরুদ্ধে শতাধিক জিডি ও ডজনখানেক মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ সোচ্ছার রয়েছে।


আরজেএফ চেয়ারম্যান এস এম জহিরুল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামালার প্রস্তুতি চলছে। আশা করি অল্প সময়েই প্রতারক আসগর আলী মানিক আইনের আওতায় আসবে।